শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার কাজে এবার বড় ধরনের চুরির অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে বরাদ্দকৃত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয় এ মাদ্রাসায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজের গুনগতমান ভালো করার স্থলে কাজের ঠিকাদার উক্ত কাজে অন্যত্র কাজের বাতিল হওয়া নিম্মমানের ২/৩ সুতা রট ৪তলা ভবনের কাজে কিছু অংশে কাজে লাগিয়ে কাজে চুরি করছে ঠিকাদার। এই ২ সুতা রট ব্যবহার করা হচ্ছে টয়লেটও। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকে নি¤œমানের ইটের খোয়া,রট ব্যবহারে নিষেধ করলেও ঠিকাদার শাহ জালাল তা মানছে বলে জানান, মাদ্রাসা শিক্ষকগণ ও কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা মাঠে কাজে ব্যবহারের জন্য নিম্মমানের ২সুতা রট এনে মজুদ করা হয়েছে। সাথে রয়েছে ইটের খোয়া ও মাটিযুক্ত বালি। তবে কাজের স্থলে গিয়ে পাওয়া যায়নি ঠিকাদার শাহ জালালকে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, এ রট ব্যবহার না করতে এবং এই স্থান থেকে সড়িয়ে নিতে বার বার বলা হয়েছে কিন্তু কর্ণপাত করছে না ঠিকাদার ও কাজের শ্রমিকরা।
সেখানে দেখা যায়, মুল ভবনের নিচের অংশেও এই রটের আংশিক ব্যবহার ও টয়লেটে ব্যবহার করা হচ্ছে এই রট। তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মাটিরাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়া।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের দাবী কাজের অনিয়মের ফলে সরকারের বিশাল অঙ্কের এ বরাদ্দ দিলেও কাজের গুনগত মান খারাপ হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে ভয় আর আতঙ্কে জীবনের ঝুঁিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সময় কাটবে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
মাদ্রাসা সুপার সলিমুল্লাহ কাজে নি¤œমানের রট ব্যবহারসহ অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে বলেন, কাজে কিছু অনিয়ম হয়েছে। পুরাতন নিম্মমানের রটও ব্যবহারও করা হয়েছে। বর্তমানে পরিক্ষার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমি পুরাতন এই রট ব্যবহারে বাধা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। কর্মস্থলে থাকা বাকী নিম্মমানের রটগুলো কাজে ব্যবহার করতে দেবেন না তিনি জানান।
এ বিষয়ে কাজের ঠিকাদার খাগড়াছড়ির বাসিন্দা শাহ জালালের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী এ অনিয়মের বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ কাজের গুণগতমান ঠিক রেখে মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের দাবী জানান।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply