সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম শফির চিকিৎসা সেবায় আর্থিক সহায়তার হাত বাড়ালেন খাগড়াছড়ি পৌর পিতা মো: রফিকুল আলম। দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ এ ত্যাগী নেতা অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেনা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ইলামিয়াহাট নিজ গ্রামের বাড়ীতে ছুটে যান মেয়র রফিকুল আলমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় দূসময়ের ত্যাগী এ নেতার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের হাতে মেয়রের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ও পৌরসভার চাকরী জীবি মো: আক্তার হোসেন তার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক নুর নবী, যুবলীগ নেতা বোরখান,কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নেতা তপন, সৈকত আহম্মদ, শ্রমিক নেতা মমিনুল হকসহ ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছিল না দুর্দিনে এ ত্যাগী দলপ্রেমী আওয়ামী লীগ নেতা। প্রায় ৬৩ বছর বয়সেও দলের হাল ছাড়েনী যে ব্যাক্তি। অসুস্থ্য থেকেও প্রত্যকটি দলীয় প্রোগ্রামে যার সরব উপস্থিত প্রমাণ করে তিনি রাজনৈতিক জীবনে কতটা ভালোবাসেন। বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এস এম শফি মৌখিক ভাবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসলেও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন তিনি।
দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে ডায়ালিসিস করার পরামর্শ পেলেও তাঁর হার্টের অবস্থাও খারাপ হওয়ায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় একটি কিডনি হলেও প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে সে টাকা যোগান দিতে না পারায় এই নেতার চিকিৎসায় তাঁর পরিবার সরকারের সহায়তা কামনা করার এক দিনের মাথায় চিকিৎসার সাহার্য্যে এগিয়ে এলো খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো: রফিকুল আলমসহ খাগড়াছড়ির কয়েকজন মানবতা প্রেমী। করেছে।
এস এম শফি কয়েক বছর ধরেই ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি শরীরের নানা রোগের চিকিৎসার জন্য কয়েকবার ভারতেও গেছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে একটি কিডনি হলেও প্রতিস্থাপনে সিঙ্গাপুরে নিয়ে ডায়ালিসিস করার পরামর্শ দেওয়ার পর ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ বহন করতে না পেরে তার চট্টগ্রামস্থ হাটহাজারীর ইলামিয়াহাট নিজ গ্রামের বাড়ী রয়েছেন।
এস এম শফি বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের আগে চট্টগ্রামের ফাতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। জাতির জনককে হত্যার পর মদুনাহাটে বিক্ষোভের জেরে আরো কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর ওপরও হুলিয়া জারি করা হয়। পরে একই বছরের ২৫ আগস্ট পালিয়ে খাগড়াছড়ি আসেন তিনি। পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী চাঁদের গাড়িও (খোলা জিপ) চালান। খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক গ্রুপের সেক্রেটারির দায়িত্বও পালন করেন। পৌরসভায় টানা তিনবার কাউন্সিলর ছিলেন। বর্তমানে তিনি সরকারের শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য পদে রয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply