রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ির গুইমারায় যত্রতত্র ভাবে মাদকের ব্যবহার ও মাদক সেবিদের উৎপাত রোধে এবার মাঠে নেমেছে গুইমারা থানা পুলিশ। গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন যোগদানের পর মাদক বিরোধী অভিযানসহ গুইমারা উপজেলাকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষায় ওসির নানামূখী উদ্যোগে স্বস্থি প্রকাশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
প্রকাশ্যে মদ বিক্রি থেকে শুরু করে সহজ লব্য এ মাদকের ক্রেতা-বিক্রেতাদের খুজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। সেই সাথে কিছু দিন পর পর মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে বখাটের উৎপাত এলাকায় কমে এসেছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। ফলে গুইমারা উপজেলা এখন কিছুটা হলেও মাদকের কালো ছোবল থেকে রক্ষার পথে এগুচ্ছে বলে ধারণা করা যায়।
গুইমারা বাজারসহ আশ পাশের এলাকায় প্রকাশ্যে সাধারন পন্যের মত চোলাই মদ বিক্রি করায় মাদক সহজেই পৌছে যাচ্ছিল মাদক সেবীদের হাতে। ফলে নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ।
বাজারে প্রকাশ্যে চোলায় মদ বিক্রয়ের বিষয়টি নানা মহলে সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ায় গুইমারা থানার ওসি নিজ উদ্যোগে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মাঠে নামে মাদক ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে অভিযানে বিভিন্ন মাদক সেবী,ব্যবসায়ীসহ ধরা পড়ে মাদকের মাথে যাদের সখ্যতা।
আর মাদকের যমদূত হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় গুইমারা থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। ওসির এ ধরনের ভুমিকায় প্রশংসা করে এলাকাবাসী এ মাদক বিরোধী অভিযোন অব্যাহত রাখতে আহবান জানিয়েছে প্রশাসনের প্রতি। তবে এ অভিযানে যেন কোন নিরপরাধ লোক হয়রানীর শিকার না হয় সে দিকে লক্ষ রাখার আহবান জানানো হয়।
গুইমারা থানায় যোগদানের পর গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় চোলাই মদ ব্যবসায়ীদের, অনৈতিক পন্থা ছেড়ে স্বাভাবিক কর্মে ফিরে আসার জন্য ১ মাসের সময় সীমা বেধে দেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী চোলাই মদ ব্যবসায়ীদের ১০ হাজার টাকা করে পূর্নবাসন সহায়তা প্রধানের প্রতিশ্রুতিও দেন। অন্যথায় পরবর্তীতে গুইমারায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাঘোষনা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা বলেন, প্রশাসনের এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনিয়। মাদক যুব সমাজের জন্য মরণ ব্যাধীতে পরিণত হয়েছে। তাই সকলের সহযোগিতায় মাদকের ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয় ওসেবন রোধ করা জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ নিয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মাদকের মরণ ছোবল থেকে যুব সমাজসহ উপজেলাবাসীকে রক্ষা করতে হলে মাদক প্রতিরোধের বিকল্প নেই। তাই এ মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি সকলকে সচেতন হয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply