মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় প্রতিযোগিতা করে পাহাড় কেটে সরকারী জামি ও ফসলী জমি ভরাট করে অবৈধ ভাবে নির্মাণ করছে দোকান-পার্ট। ফলে সামনে বর্ষা মৌসুমে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজোলাধীন জালিয়াপাড়ার জমি ভরাটের ফলে খালভেঙ্গে প্রাণহানীর পাশাপাশি মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া পুলিশ ফাড়িঁ সামনে প্রায় ৫০ ফুট উচা করে ফসলী জমি ভরাট করে সরকারের নিয়মনিতী তোয়াক্কা না করে সরকারী জমি দখল করে দোকান-পাট নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফসলী জমি ভরাট, পাহার কাটা, অবৈধ দোকান-পার্ট নির্মাণ করীরা হলেন, মোঃ মিন্টু মিয়া(কোম্পানি) রামগড়, মোঃ নাইম উদ্দিন(সওদাগর), জালিয়াপাড়া, এবং মোঃ আব্দুর রহিম, জালিয়াপাড়া।
জালিয়াপাড়া অবৈধ ভাবে ফসলী জমিতে মাটি ভরাট কারীদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে কল রির্সিভ না করে কথা বলা থেকে বিরত থাকে জালিয়া পাড়ার আব্দুর রহিম ও মিন্টু মিয়া ( কোম্পানি)।
অপর দিকে, নাইম উদ্দিন(সওদাগর) এর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মাটি ভরাট করেছি আমার ক্রয়কৃত জায়গা। ক্রয়কৃত জায়গার মধ্যে বেশি থাকলে আমি ছেড়ে দিবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হতে বলেছে তাও আমার জানা ছিল না।
সড়ক ও জনপদ উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সড়ক ও জনপদের জায়গায় যদি অবৈধ ভাবে মাটি ভরাট করে থাকে, স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন হবে।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ূয়ার কাছে পাহার কেটে ফসলী জমি ভরাট সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অবৈধ ভাবে সরকারের নিয়মনিতী তোয়াক্কা না করে ফসলী জমি ভরাট করছে, তাদের কে কাগজ পত্র নিয়ে স্ব-শরীরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা এখনো কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হয়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কাউকে অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার ও ফসলী জমি ভরাট করার অনুমতি দেওয়া হয়নি । পাহাড় কাটা ও ফসলী জমি ভরাট থেকে বিরত রাখতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে প্রশাসন। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, অবৈধ পাহাড় কাটা এবং ফসলী জমি ভরাট বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply