রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহুল আলোচিত পর্দাসহ সরঞ্জামাদী ক্রয়ে দুর্নীতি ও ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনকে আসামী করে মামলা করেছে দুদক।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদি হয়ে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ফরিদপুরের দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলা নং-৪।
মামলায় আসামী করা হয়েছে সরবরাবহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।
আসামীদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে প্রাক্কলনব্যতিত উচ্চ মূল্যে হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে ৪০৯/৫১১/১০৯ ধারায় দন্ডবিধির তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ মামলা করা হয়।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউর পর্দা ও আসবাবপত্র কেনাকাটায় ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মেসার্স অনিক ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাজারমূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক দাম দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক।
অনুসন্ধান টিমের প্রধান দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম। অন্য সদস্যরা হলেন উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান ও শহিদুর রহমান। অনুসন্ধান শেষে আজ এ মামলাটি দায়ের করা হল।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply