বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০২:২৮ অপরাহ্ন
নুরুল আলম:: ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে খাগড়াছড়িতে বিপুল পরিমাণ পর্যটক এসেছে। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্য ও ঝর্ণার শীতলতায় গা ভাসাতে পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়িতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারও সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটক।
আগামী ৯ মে পর্যন্ত পর্যটকদের এ স্রোত থাকবে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, আলুটিলা গুহা, জেলা পরিষদ পার্ক, রিছাং ঝর্ণা, মায়াবিনী লেকসহ প্রতিটি পর্যটন স্পর্ট এখন পযর্টকদের উপচে পড়া ভিড়। করোনা মহামারির কারণে টানা দুই বছর পর ঘুরতে আসতে পেরে ভ্রমণ পিপাসুরা যেমন খুশি তেমনি ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে এমন আশা করছেন পযর্টন নির্ভর ব্যবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম নানান দৃশ্য, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যমং জীবনধারা, সাংষ্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি তৈরীর নজরকাড়া হাজারও চিত্র। চার পাশে বিছিয়ে রাখা শুভ্র মেঘের চাদরের নিচে রয়েছে সবুজ বনারাজিতে ঘেরা টেউ খেলানো অসংখ্য ছোট বড় পাহাড়। তার মাঝ দিয়ে চলে গেছে আকাঁবাকা সড়ক।
প্রাকুতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের থাকার-খাওয়ার রয়েছে বহু হোটেল রেষ্টুরেন্ট। খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যান মিত্র বড়ুয়া বলেন, দুই বছর পর খাগড়াছড়িতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দু-বছরের কাটিয়ে উঠতে পারবো।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আব্দুল আজিজ বলেন, খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটক নিরাপত্তা নিশ্চিত পুলিশ প্রশাসন সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতিটি পর্যটন স্পর্টে নিয়োগ করা হয়েছে জেলা পুলিশ ও ট্যুরিষ্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
পাহাড়, নদী, খাল, ছড়া ও ঝর্ণার ছড়াছড়ি খাগড়াছড়ি। এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও ঝর্ণার শীতল পানিতে গা ভাসাতে আপনাকে ও হাত ছানি দিয়ে ডাকছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply