বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেবের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন ২নং তবলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া।
আমাদের মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি এনামুল হক জানান, ২৪জুলাই ২০২২ইং রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচ টার সময় তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে আবুল কাশেম ভুইয়া বলেন, সরকার প্রদত্ত গৃহায়ন প্রকপ্ল, গুচ্ছগ্রাম ও এলাকার উন্নয়ন মুলক সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা/কাবিটার ১৫% হারে কমিশন দিতে হয় তৃলা দেব কে। এতে একদিকে মান সম্মত কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না পক্ষান্তরে অবৈধ টাকার পাহাড় গড়ে তুলছেন। গৃহ নির্মান ও আশ্রন প্রকল্প ঘর প্রতি ২০ (বিশ) হাজার টাকা হারে ঘুষ নিয়ে তার (তৃলা দেব) নিজস্ব মনোনিত ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে নিজ দায়িত্বে নির্মান কাজ করেছেন।
ঘর নির্মাণ কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় মনোনিত ঠিকাদার ঘর মালিকদের কাছ থেকে ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা আদায়, নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী। যথা- ইট, বালি, কংক্রিট, সিমেন্ট, রড ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। গৃহ নির্মান সামগ্রী ঠিকাদারগণ নিজ খরচে পরিবহন করার কথা থাকলেও ঘর মালিকদের মাধ্যমে পরিবহন করিয়েছেন। এ সমস্ত কারণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অবহিত করলে অদৃশ্য রহষ্যের কারণে তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
তবলছড়ি ইউনিয়নে ৪টি গুচ্ছগ্রামে ১হাজার ৩শত ৫২টি রেশন কার্ডের বিপরীতে প্রতি মাসে কার্ড প্রতি ৩৮ টাকা হারে ৫১হাজার ৩শত ৭৬ টাকা কমিশন হিসেবে বাধ্যতা মূলক দিতে হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। রেশন কার্ডের নাম পরিবর্তনে ১২হাজার টাকা এবং নতুন কার্ড প্রদানে ৫০টাকা করে দিতে হয়। উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি গুচ্ছ গ্রাম তদারকি কর্মকর্তাকে ২০হাজার টাকা প্রদান করতে হয়। অন্যথায় ডিউ ইস্যু করেন না।
তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, সরকারি কোন নির্দেশনা ছাড়া ১৪ জন কার্ড ধারীর ৬ মাসের রেশন বিতরণ না করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে সেকল রেশন ভোগ করছেন। যার মুল্য ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা। উপরোক্ত বিষয় গুলো বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত আসায় আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে তুচ্চতাচ্ছিল্ল ভাষা ব্যবহার করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪জুলাই ২০২২ একটি সরকারি কাজে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করলে মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র শামসুল হক ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে আমাকে বের হয়ে যেতে বলেন।
একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমন সেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি ও অনিয়ম বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড কে ব্যহত এবং সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন আবুল কাশেম ভুইয়া।
সংবাদ সম্মেলন শেষে তবলছড়ি বাজারে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুইয়ার নেতৃত্বে মানববন্ধন করা হয়। এতে স্থানীয় বিভিন্ন পেশার ৫-৬শত জনসাধারণ প্রতিবাদ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। এসকল স্বেচ্ছাচারিতা, দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। মানববন্ধনে তার এসকল দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে মাটিরাঙ্গা বাসিকে নিয়ে কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
দূর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃলা দেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকারি নিয়মনীতি মেলে ঘর এবং গুচ্ছু গ্রামের রেশন বিতরন করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply