মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: তিন পার্বত্য জেলায় খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানে পাহাড় কাটার মহাৎসব চলছে। বিভিন্ন উন্নয়নের নামে-বেনামে বসতিঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে পাহাড়িয়া ভূমিতে নির্বিচারে পাহাড় কেটে ধ্বংসযজ্ঞ করে ফেলছে। এতে প্রসাশন চোখকে ফাঁকি দিতে নতুন কৌশল অবলম্বন পায়তারা চালাচ্ছে বান্দরবানে একটি পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট দল। তারা দিনে না কেটে মধ্যরাতে লোকালয়ে এক নাগাড়ে একের পর এক পাহাড় কেটে সাবাড় করছে চক্রটি। এই চক্রে মূল হোতা মোহাম্মদ ইয়াসিন আহমেদ। পাহাড় খেকো মোহাম্মদ ইয়াসিন নামে পাহাড় কাটা দায়ের একাধিক মামলাও রয়েছে এবং বছর খানিক আগেই পরিবেশ অধিপ্তদের মামলায় জরিমানার সাব্যস্ত দোষে পাশাপাশি জেলেও ছিলেন। তাদের সিন্ডিকেট দলটি প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। মাটি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক স্থায়িত্ব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কনট্রাকের ভিত্তিতে টাকার বিনিময়ে কয়েক দিন আগে রাতে আঁধারে পৌর ক্যচিংঘাটা নতুন পাড়ায় বীর বাহাদুর স্কুল এন্ড কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তা পাশে বসতি নির্মাণের জন্য বিশাল পাহাড় কেটে ফেলেছে। তাছাড়া নীলাচল যাওয়া পথে টাইগার পাড়া এক প্রভাবশালী বাগান মালিক কে বিশাল পাহাড়ের টিলা কেটে রাস্তা সু-ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এই মাটিগুলো আবার ট্রাকে ভরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্যচিং পাড়া ক্ষোভে কয়েকজন স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মধ্যরাতে ভারি স্কেবেটার (মেশিন) দিয়ে উচু পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের জন্য সমতল করছে । সেই মাটি আবার ট্রোকে যোগে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণীর পেশা মানুষরা সারাদিন কাজে লিপ্ত থাকি। শান্তির খুঁজে রাত্রের ঘুমায় পড়ি। তখন যদি গভীর রাতে হঠাৎ আশেপাশে মানুষের মেশিন শব্দের ঘুমের নষ্ট হয়ে যায়। চোরের মতন এমনই জঘ্যন কাজ, রাত্রে পাহাড়ে মাটি সরিয়ে পরিবেশ ধ্বংসযজ্ঞ কাজে লিপ্ত মেঠে ওঠেন তারা।
তাছাড়া সামান্য বৃষ্টি পড়লে সেই মাটি সরিয়ে রাস্তার পড়ে সাধারণ মানুষের ওই রুটে চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে। সারা বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় এসে মাটি পড়ে থাকে, এতে বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা তাদের পরনে কাপড়-চোপড় কাদা লেগে নষ্ট হয়। তাই প্রশাসনে কাছে আকুল মিনতি করছি, পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার্থের এই চক্রটিকে অচিরে বন্ধ করতে হবে।
পাহাড় কাটা বিষয়ে পাহাড় খেকো মূল হোতা ইয়াসিন কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য প্রতিবেদকে মানা করেন। এলাকা কিছু প্রভাবশালী ছত্রছায়া পাহাড় কাটা হচ্ছে বলেও নিজেকে দাবি করেন।
পাহাড় কাটার এ ব্যাপারে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন জানান, এ ধরণের অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পর্যন্ত পরিবেশ আইন আমান্য করে যারা পাহাড় কাটা সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রের্কডভুক্ত আছে। অভিযোগ প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ আমলে নিচ্ছি বলেও জানান এই কর্মকতা।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply