সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু দীঘিনালাতে অপহরণের ২২ ঘন্টা পর ইউপিডিএফ’র ৩ নেত্রীকে মুক্তি লংগদুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের পর পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু, আহত ২ হিল উইমেন্স ফেডারেশন’র নেত্রী এন্টি চকমাসহ তিন জনকে অপহরণ পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশে প্রধান অন্তরায় অবৈধ অস্ত্র: এমপি দীপংকর নাইক্ষ্যংছড়িতে চোরাই পথে আনা ৪০ বার্মিজ গরু জব্দ রামগড়ে ১৩ বছর ধরে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ১ মাদক ব্যবসীয় আটক মানিকছড়িতে ৪০ লিটার চোলাই মদসহ ৩ পাচারকারী আটক রাজস্থলীতে বাঙ্গালহালিয়া বাজারে অস্বাস্থ্যকর মাছ পঁচা বিক্রি মাটিরাঙ্গায় সেনা জোন কর্তৃক ভারতীয় ঔষধ ও কসমেটিকস জব্দ
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে পাহাড়

পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে পাহাড়

ফলোআপ—-

নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা ও রামগড় উপজেলায় প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কাটা। প্রতি বর্ষায় ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের অন্যতম কারণ অবাধে পাহাড় কাটা। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিনে ও রাতে অবাদে রীতিমতো পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা প্রশাসনের কোনো প্রকাশ ছাড়পত্র ছাড়াই পাহাড় কাটা চলছে। এতে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।

খাগড়াছড়ি জেলা গুইমারা ও রামগড় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানান অজুহাতে পাহাড় কাটছে একটি চক্র। রাতে এবং দিনে স্কাভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে তা ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। আর এসব মাটি বিক্রয় করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচু নিচে জায়গা ভরাট এর কাজে। যা প্রতি ট্রাক বাবদ ১ হাজার ৫শত টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়ে থাকে। তবে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসন কোনো ইতিবাচক কার্যকারী উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ কর্মীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি জেলা গুইমারার সিন্দুকছড়ি, হাতিমুড়া, মাহবুব নগর ও লুন্দুক্যাপাড়াসহ জালিয়াপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন পাহাড়টি অবাধে দিনে রাতে পাহাড় কেটে নিচ্ছে একটি চক্র। জালিয়াপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন পাহাড়টি পরিদর্শন করতে গেলে দেখা যায়, চার পাশ দিয়ে পাহাড় কাটার চিত্র না দেখার জন্য জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসন দেখতে যেতে না পারে। এসব পাহাড় কাটার পিছনে সবচেয়ে বড় হাত রয়েছে স্থানীয় কিছু স্কাভেটর মালিকদের। তারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য পরিবেশকে বিপর্যয়ের মূখে ফেলছে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়টি মূলত জালিয়াপাড়া এলাকার কেফায়েত উল্লাহ নামক এক ব্যক্তির। তার মদদেই কাটা হয়েছে পাহাড়টি। পরে মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে পাহাড় কাটার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।

পাহাড় কাটার বিষয় রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অনুমতি বিহীন পাহাড় কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। অবৈধ ভাবে যেই পাহাড় কাটুক তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকটি অনুমদিত বালুর মহাল ছাড়া কোনো অবৈধ বালু কিংবা পাহাড় কাটার বিষয় জানা নেই তবে এই রকম পাহাড় কাটার সংবাদ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সচেতন মহলের দাবী, অবাদে পাহাড় কাটার কারণে প্রতিবছর ভাড়ি বর্ষণে সময় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। যার ফলে ব্যাপক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। তাই যারা অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।

Design & Developed BY Muktodhara Technology Ltd