শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০২:০১ অপরাহ্ন
সেনা বাহিনীর শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রম: শহিদ লেঃ জি এম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তম
মোঃ রাশেদ খন্দকার/আল মামুন: পার্বত্য অঞ্চলে সেনা বাহিনীর শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রম: শহিদ লেঃ জি এম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তম। পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনী পাহাড়ী বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় উপাসনালয় স্থাপন সংস্কার ও মেরামত করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, সংস্কার, মেরামত ও শিক্ষাসংক্রান্ত সহায়তা প্রদান, খেলাধুলা উন্নয়ন, পানীয় জলের ব্যবস্থা, বিভিন্ন দূর্যোগে ক্ষতিগ্রসস্থদের জন্য বসতবাড়ি নির্মান ও বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতাল ইত্যাদি মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এমনই একটি উন্নয়ন কার্যের স্বাক্ষী হয়ে আছে গুইমারায় রিজিয়নের অধীনে “শহীদ লে: মুশফিক উচ্চ বিদ্যালয়”।
শহিদ লেঃ জি এম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তম: ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী হতে কমিশন লাভ করে ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারিতে যোগদান করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালং রিজার্ভ ফরেষ্ট এলাকায় চেলাছড়া নামক জায়গায় কাউন্টার ইন্সারজেন্সি অপারেশনে নিয়োজিত থাকাকালীন অবস্থায় তিনি গত ০৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ সালে ৩ ঘটিকায় শান্তিবাহিনীর ঘাটি ধ্বংসের জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। অভিযানে নেতৃত্য প্রধাণের সময় হঠাৎ শান্তিবাহিনীর পাল্টা গুলি এসে এই বীর সেনানীর বুক ঝাঝরা করে দেয় গুরুতর আহত হবার পরও লেঃ মুশফিক কঠিন মনোবল ও নেতৃত্বের গুনাবলী অভিযান পরিচালনা করে শান্তি বাহিনীর ঐ ঘাটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করেন।
আতিরিক্ত রক্তক্ষয়ের কারনে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হওয়া সত্বেও তিনি ধীর স্থির ভাবে অধীনন্থ সকলকে দায়িত্ব পালনে উৎসাহ দেন এবং ০৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ সালে সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।এই অভিযানে কঠোর মনোবল, সাহসিকতা ও বীরত্ব প্রদর্শনের তাকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরবর্তীতে মরনোত্তর “বীর উত্তম” খেতাবে ভূষিত করা হয়। উল্লেখ্য যে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনিই সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব পেয়েছেন। অকুতভয় দেশপ্রেমিক এই তরুন অফিসারের আতœত্যাগেকে চিরস্মরনীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে ১৩ আগষ্ট ২০০০ তারিখে তার নামে গুইমারায় শহিদ লেঃ মুশফিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
২ হাজার সালের ১৩ আগষ্ট বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কালাম শাহেদ এনডিসি, পিএসসি। বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান পৃষ্ঠ পোষক মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার এডব্লউসি, পিএসসি। পৃষ্ঠ পোষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ কামরুজ্জামান এনডিসি, পিএসসি। সভাপতি, লেঃ কর্ণেল গোলাম ফজলে রাব্বী পিএসসি। প্রধান শিক্ষক মোঃ হাকিম উদ্দীন শেখ বিএসসি, বিএড।
তার পাশাপাশি গুইমারা রিজিয়নের মসজিদের পাশে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ও বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। যা সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে বিশাল অবদান রাখছে। এছাড়াও শুধু গুইমারায় নয় পুরো পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায়, ব্রিগেট, জোন, সাবজোন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও অস্থায়ী বা স্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে সেনাবাহিনীর। শীত কালীন মৌসুমে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে।
সেনাবাহিনী মানিকছড়িতে প্রায় ২ হাজার গরীব শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে: খাগড়াছড়ি জেলার তিনটি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার জন দরিদ্র অসহায় শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সিন্দুকছড়ি জোনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে মানিকছড়ি কলেজ মাঠে পাহাড়ী-বাঙালি জনগোষ্ঠির মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম ফজলে রাব্বি, মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিনীতা রানীসহ সেনা অফিসার, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এসময় দরিদ্র অসহায় পাহাড়ী-বাঙালী শীতার্থরা পাহাড়ে শীতের দাপটের সম্বল শীতের কম্বল পেয়ে সেনাবাহিনীর এমন মহতী উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
গুইমারা রিজিয়নে শীত বস্ত্র বিতরণ করছেন ব্রি.জে. কামরুজ্জামান: গুইমারা রিজিয়নে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি সোমবার গুইমারা রিজিয়ন সদর দপ্তরে এলাকার শীতার্ত-অসহায় মানুষের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। ২৪আর্টিলারী ব্রিগেডের গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এলাকার প্রায় ২শতাধিক পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের মাঝে শীত বস্ত্র তুলে দেন।
এসময় রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা এদেশের সন্তান, আপনাদেরই সন্তান মন্তব্য করে খাগড়াছড়ির সবুজ পাহাড়ে আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের সুখে দূঃখে সেনাবাহিনী অতন্ত্র প্রহরীর মত আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। পাহাড়ে সেনাবাহিনী শুধু সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন শীতবস্ত্র দিয়ে এলাকার অভাব দূর করা সম্ভব নয়, পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন করতে হলে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল একযোগে কাজ করতে হবে। কিছু কিছু দৃষ্কৃতিকারী চাঁদাবাজ পার্বত্য এলাকায় সরকারের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী বদ্ধ পরিকর। সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বর্ডার গার্ড দিবস ২০১৬ ও হাসপাতালের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন: বর্ডার গার্ড (বিজিবি)’র দিবস ২০১৬ ও গুইমারাস্থ বর্ডার গার্ড হাসপাতাল এর ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে নানা অনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বিজিবি সদর সেক্টর গুইমারায়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, এনডিসি-পিএসসি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন, ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার, লে: কর্নেল মোঃ আব্দুল ওহাব, অধিনায়ক, বর্ডার গার্ড হাসপাতাল। ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) সহকারী পরিচালক, মোহাম্মদ মোস্তফা।
এতে উপস্থিত ছিলেন, লে: কর্ণেল সাদেক বিন সাইদ ও মেজর মোল্লা মোনতাসির, লে: কর্ণেল গোলাম ফজলে রাব্বি (জোন কমান্ডার সিন্দুকছড়ি), লে: কর্ণেল মোঃ আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা (জোন কমান্ডার লক্ষীছড়ি), লে: কর্ণেল কাজী শমশের উদ্দিন (জোন কমান্ডার মাটিরাঙ্গা) প্রমূখ।
দিন ব্যাপি কর্মসূচিতে বিশেষ মোনাজাত, অনুষ্ঠানিক কেক কাটা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিশেষ দরবার, প্রীতি ভোজ, প্রীতি ভলিবল, প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেন।
গুইমারায় এক শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সামরিক পোশাক উদ্ধার: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থেকে ৮৭ পিস আমদানী করা সামরিক পোশাক উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল শনিবার গুইমারা বাজার থেকে নিরাপত্তা বাহিনী পরিচালিত এক অভিযানে এই বিপুল পরিমাণ পোশাক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা পোশাকের মধ্যে রয়েছে ৫৭ পিস শার্ট ও ৩০ পিস প্যান্ট। এসময় মইনুদ্দীন(৩৫) নামের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকেও আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। তার বাড়ি গুইমারা। সে স্থানীয় আবুল হোসেনের পুত্র।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রগুলো জানায়, গুইমারা বাজারের এক ব্যবসায়ী শীতের গরম কাপড়ের আড়ালে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কাছে সামরিক পোশাক বিক্রি করছে এমন খবরের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী ফাঁদ পাতে। এই ফাঁদে পা দিয়ে ব্যবসায়ীও বিপুল পরিমাণ সামরিক পোশাক আমদানী করে। এ খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তার শীতের গরম কাপড়ের গাঁইটের ভেতর তল্লাশী চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ সামরিক পোশাক উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের আটক ব্যবসায়ী জানান, এগুলো তিনি চট্টগ্রাম থেকে কিনে এনেছেন। ইতোপূর্বে আরো বেশ কিছু ইউনিফর্ম কিনে এনে স্থানীয় উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তাদের চাহিদার ভিত্তিতে আরো ইউনিফর্ম এনেছিলেন। তবে এগুলো গরম কাপড় হিসাবে এনেছেন তিনি। এগুলো যে সামরিক পোশাক তা তার জানা ছিল না।
স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন লেবেল দেখে ধারণা করা হচ্ছে পোশাকগুলো চায়নায় তৈরি। এগুলো ভারত ও মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ব্যবহার করে থাকে। তবে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের সশস্ত্র শাখাও এই পোশাক ব্যবহার করে থাকে।
তারা ধারণা করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ আটক ব্যবসায়ীকে দিয়ে এই সামরিক পোশাক আমদানী করিয়েছেন। তবে বিষয়টি যাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরের বাইরে থাকে তাই বাঙালী ব্যবসায়ীকে ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাক আমদানীর সম্পূর্ন নেটওয়ার্ক জানতে আটক ব্যবসায়ীকে উচ্চ পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
গুইমারায় শান্তিচুক্তির ১৯ বর্ষপূর্তিতে র্যালী ও আলোচনা সভা: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার আর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ১৯বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে গুইমারায়। শুক্রবার সকাল ৯টায় বর্ণিল আয়োজনে বিভিন্ন সংগঠনের র্যালীতে অংশ নেয়।
গুইমারা অস্থায়ী কলেজ ক্যাম্পাস মাঠে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল কামরুজ্জামান এনডিসি পিএসসি। এ সময় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা উড়িয়ে পরে আলোচনা সভা করে।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, নিরাপত্তাই হচ্ছে একটি দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির অংশ। সারা দেশের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামেও শান্তি চুক্তির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে পার্বত্য চুক্তির ফলে পাহাড়ের সংঘাতের অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছে উলে¬খ রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কামরুজ্জামান।
এ সময় শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেয়, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, গুইমারা বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জাবেদ সুলতান,সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল রাব্বি আহমেদ, মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম মশিউর রহমান, রামগড় সহকারী পুলিশ সুপার কাজী হুমায়ুন রশিদ ভূঁইয়া, গুইমারা থানা অফিসার ইনচার্জ জুবায়ের উল হক, মানিকছড়ি অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাকিব, রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন ও গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মেমং মারমা প্রমূখ।
এছাড়াও শোভাযাত্রায় গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়, গুইমারা কলেজ, লক্ষীছড়ি উপজেলা, লক্ষীছড়ি কলেজ, মানিকছড়ি উপজেলা, মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী ডিগ্রী কলেজ, শহীদ লে. মুশফিক বিদ্যালয়, গুইমারা রিজিয়ন, সিন্দুকছড়ি জোন, মাটিরাঙ্গা জোন, লক্ষীছড়ি জোন ও পলাশপুর বিজিবি জোনসহ আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা র্যালীতে অংশ নেয়।
গুইমারায় অস্ত্র,বুলেট ও ১০পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বড়ইতলী এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে সেনা বাহিনী একটি পরিত্যক্ত বন্দুক, ২ রাউন্ড বুলেট ও ১০পিস ইয়াবাসহ জড়িত সন্দেহে মংসাথোয়াই মারমা (২১) নামে যুবক আটক করেছে। বৃহস্প্রতিবার গভীর রাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিন্ধুকছড়ি ৪ ফিল্ট আর্টিলারীর সেনা জোনের ক্যাপ্টেন তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই বড়ইতলী এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বন্দুক, ২ রাউন্ড বুলেট ও ১০পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে ঘটনাস্থল মংসাথোয়াই মারমার বাড়ির পাশে হওয়ায় সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করা হয়। সে বড়ইতলী এলাকার উগ্যজাই মারমা ছেলে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়ের উল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সেনা বাহিনীর একটি পরিত্যক্ত বন্দুক, ২ রাউন্ড বুলেট ও ১০ পিস ইয়াবা, মংসাথোয়াই মারমা নামের এক যুবককে থানায় হস্থান্তর করেছে।
স্থানীয়দের মতে পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ তাকে ফাসানোর জন্য তার খামারে বড়ির আঙ্গিনায় এসব রেখে গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গুইমারা থানার পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। পুলিশ তদন্তে যুবকের কোন সম্পৃত্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সিন্দুকছড়ি জোনের ৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত: বর্নাঢ্য আয়োজন ও শিল্পীদের মন মাতানো সুরে খাগড়াছড়িতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সিন্দুকছড়ি জোনের ৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জোন সদরে আয়োজিত প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে উপস্থিত হয়ে জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল গোলাম ফজলে রাব্বী’কে ফুল ও উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: কামরুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী সহ সামরিক পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন।
এ সময় তিনি ৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। পরে ৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি’র নানা অর্জন পরিদর্শন শেষে প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল জিল্লুর রহমান, লক্ষ্মিছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল মো: আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম মশিউর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় সেনা সদস্য ও দেশের ক্ষতিমান সংগীত শিল্পীদের মন মাতানো গান এবং স্থানীয় শিল্পীদের নৃত্যে মাতিয়ে তোলে পুরো জোন সদর। অনুষ্ঠানে সেনা ও বিজিবিসহ সামরিক পদস্থ কর্মকর্তার পাশাপাশি বেসামরিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply