শিরোনাম
মা‌টিরাঙ্গায় বাজার ম‌নিট‌রিং ও জ‌রিমানা পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের দিবস উদযাপন উপলক্ষে যামিনীপাড়া জোন কর্তৃক অনুদান প্রদান ২৭তম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বর্ষপূতি উপলক্ষে সিন্দুকছড়ি জোনের মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে পার্বত্য চুক্তি নিয়ে খাগড়াছড়িতে নাগরিক ও জেএসএস পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি গুইমারাতে সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত মাটিরাঙ্গায় মাদ্রাসার সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত “খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে মতবিনিময় সভা” প্রশাসনের উপর ভর করে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায়ন টিকে ছিলো ১৮ বছর পর রাঙামাটি পৌর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

গরমে শিশুর আরাম

Reporter Name

পোশাক নির্বাচনের সময় প্রথম শব্দ যেটি মাথায় আসতে হবে তা হলো, আরাম। কাপড়, কাট আর নকশা মিলিয়ে শেষ শব্দটিও হতে হবে আরাম। খাবার দেওয়ার সময়ও চিন্তা করতে হবে পুষ্টিগুণ। গরমে স্বস্তি দেবে এমন খাবারই বেছে নিতে হবে। সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। এমন তিন-চারটি বিষয়ের দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখলেই পুরো গরমে শিশু থাকবে সুস্থ।

পোশাক-পরিচ্ছদ

শিশুকে ঢিলেঢালা পোশাক পরান। সুতি কাপড়ই এই সময়ের জন্য ভালো। গরমে ঘেমে গেলে পোশাক বদলে দিন। হুটহাট বৃষ্টিও নামতে পারে। শিশু বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও যত দ্রুত সম্ভব পোশাক বদলে দিন।

গোসলে-পরিচ্ছন্নতায়

প্রতিদিন নিরাপদ পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করান। গোসলের সময় সাবান দিয়ে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করিয়ে দিতে হবে। গোসলের পরপরই ভালোভাবে শরীর মুছে দিন। চুল আর চুলের গোড়া মুছে দিন ঠিকঠাক। আঙুলের ফাঁকেও যেন ভেজা না থাকে। শরীর মুছে দেওয়ার পর হালকাভাবে পাউডার লাগাতে পারেন। ঘেমে গেলেও একইভাবে শরীর ও চুল মুছে দেওয়া জরুরি। প্রথমে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে নিতে পারেন। তবে সারা দিনে একবারের বেশি গোসল না করানোই ভালো।

যা চাই তা-ই খাই

শিশু যখন যা চাইবে, তা খেতে দেওয়ার আগে ভেবে দেখতে হবে, এটি ওর জন্য ভালো কি না। আবার অনেক সময় শিশু না চাইলেও ওর ভালোর জন্য বুঝিয়ে কিছু খাবার দিতে হয়। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেলা আখতারের পরামর্শ, পর্যাপ্ত পানি পান করানো জরুরি। পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। মৌসুমি ফল ও সবজি খাওয়ান। ফলের রস বা জুস দেওয়া যেতে পারে, তবে তা ঘরে তৈরি করে দেওয়া গেলে শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো। রাস্তার পাশ থেকে কাটা ফল, ফল মাখানো, আইসক্রিম, শরবত বা অন্য কোনো খাবার কিনে খাওয়ানো উচিত নয়। এগুলোর কারণে ডায়রিয়া, বমি, টাইফয়েড, এমনকি হেপাটাইটিস হতে পারে। বাড়িতেও খাবার ঢেকে রাখুন। টাটকা খাবার পরিবেশন করুন। বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন। ভাজাপোড়া ও তেল-চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। কোমল পানীয় পরিহার করাই স্বাস্থ্যসম্মত।

রাস্তার পাশ থেকে খাবার কিনে দিলে শিশুর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে

চাই প্রশান্তি

কড়া রোদে শিশুকে বাইরে না নেওয়াই ভালো। খেলাধুলা করার জন্যও ছায়াঘেরা স্থান বেছে নিন। ঘেমেনেয়ে বাসায় ফিরেই সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি বা পানীয় দেওয়া ঠিক নয়। বাসায় ফেরার পর শিশুকে খানিকটা সময় ফ্যানের বাতাসে বসিয়ে রাখুন। এই সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিতে পারেন। ঠান্ডা পানি দিতে হলে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের মাধ্যমে ঘর ঠান্ডা করতে চাইলে সেটিও করুন বাড়ি ফেরার কিছুটা সময় পর। আবার সব সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ব্যবহার না করাই ভালো। খোলামেলা পরিবেশে রাখুন শিশুকে। ঘরের জানালা খুলে পর্দা সরিয়ে দিন। ফ্যানের বাতাসেই রাখুন তাকে। প্রয়োজন হলে মাঝেমধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের সাহায্য নিন। শিশু পর্যাপ্ত পানি পান করছে কি না, তা খেয়াল রাখুন।

শিশুর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্রাব হচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর চুল বেশি বড় রাখা ঠিক নয়। বড় চুলের কারণে গরমে-ঘামে অস্বস্তিতে পড়তে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!