শিরোনাম
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণে গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ গুইমারাতে সংঘাত, নৈরাজ্য ও অস্থিরতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতি সমাবেশ খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: প্রতিবাদে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত: ১৪৪ ধারা জারি সিন্দুকছড়ি জোনের পক্ষ থেকে মানবতা ও সমাজ কল্যাণে বিশেষ সহায়তা প্রদান খাগড়াছড়ি গুইমারা বাজার পরিচালনা কমিটি গঠন “৯৯” এস.এস.সি- ব্যাচ মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী সরকারকে সহযোগিতা করছে’ গুইমারায় সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ “আগামী তিন দিন শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে না যাওয়া আহ্বান” নুরুল আলম:: সারাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক হামলা, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ও হত্যার নিরপেক্ষ তদন্তে কমিটি গঠন করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে খাগড়াছড়িতে। সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি চেঙ্গী স্কয়ার হয়ে কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি কার্যালয়ের সামনে থেকে চেঙ্গি এস্কয়ারে এসে সমাবেশ করেন। ফুটন্ত চাকমার সভাপতিত্বে শিক্ষার্থী জনতন চাকমার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, উক্যনু মারমা,সুপন চাকমা,দেবাশীষ চাকমা,মংসানু মারমা প্রমূখ। কর্মসূচীতে আগামী তিন দিন শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে না যাওয়া আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, রাজপথে যখন নেমেছি। আমরা রক্ত দিতেও শিখেছি মন্তব্য করে হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে বক্তব্যে পাহাড়ের ইতিহাস না যেনে অনেকে ভুল ম্যাসেজ দিচ্ছে বলে জানান। এসময় ভূমি আইন নিয়ে কথা বলেন বক্তারা। তারা জানান, এই সমস্যা আমাদের সৃষ্ট নয়। পাহাড়ে ঘুরতে এসে ইতিহাসসহ পাহাড়ের কান্না দেখে যাওয়ার আহ্বান তাদের পর্যটকদের প্রতি। আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী দাবি করে পাহাড়ের মানুষকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে মন্তব্য করে পাহাড়ের মানুষ এখনো মুক্ত নয় দাবি করে অধিকার আদায়ের পাহাড়ের মানুষকেই সংগ্রাম করতে হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দরা। এ সময় তারা জাতি সংঘের তদন্ত দাবি করে কাঙ্ক্ষিত দাবি আদায় করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। আহতদের চিকিৎসা চলমান থাকলেও তাদের কেউ খোঁজ না নেয়ারও অভিযোগ তোলে। এর আগেও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত না হওয়াসহ পাহাড়ের একের পর এক সাম্প্রদায়িক ঘটনার ঘটছে বলে দাবি তাদের। পাহাড়ের সংঘাত পাহাড়ি-বাঙালিদের ইস্যু না,রাষ্ট্রিও সমস্যা রাষ্ট্রকেই সমাধান করতে হবে বলেও জানান বক্তারা। গুইমারা উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী সভা

সংযোগ সড়কের ভোগান্তিতে কয়েক হাজার লোক

Reporter Name

গাজীপুরের শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী গ্রামের সাথে পাশের সাইটালিয়া বিদ্যারভিটা নামের একটি গ্রামকে
বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে খাসিডুবের একটি খাল।

বর্তমান সরকার জনদুর্ভোগ লাগবে এই খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মান করেছেন দেড় বছর হলো। কিন্তু ব্রিজের দুপাশে নেই কোন সংযোগ সড়ক (এপ্রোচ রোড)।

আর এতেই ভোগান্তিতে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় দুই হাজার লোক। সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের। যদিও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছেন দুই গ্রামের জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে খুব শিগ্রই সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। সাইটালিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আক্তারুল আলম জানান,আমাদের মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাড়িই বিদ্যারভিটা গ্রামে। কিন্তু এ গ্রামটিতে এখনও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া আসেনি। এ গ্রাম থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিভিন্ন ফসলের মাঠের আইল(রাস্তা) ধরে প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়। ব্রিজের আগে এই খালে বাশের সাঁকোর ব্যবহার ছিল। এখন ব্রিজ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল ভোগ করতে পারছে না এলাকাবাসী।

মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ময়না আক্তারের মতে, একটি সড়কের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠানে আসি। তবে বর্ষাকালে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারিনা যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য।

সাইটালিয়া বিদ্যারভিটা গ্রামের ইসলাম উদ্দিন মাষ্টার জানান, আমাদের এলাকার অধিকাংশ লোকজনই সড়কের অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছে, বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ রোগি ও বিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় মমতাজ উদ্দিন মাষ্টার জানান, জনদুর্ভোগ লাগবে এখানে একটি ব্রিজ হলেও অপূর্ণ থেকে গেল সংযোগ সড়কটি। ব্রীজ নির্মাণ সম্পন্ন হলেও সংযোগ সড়কটির অভাবে দুর্ভোগের প্রহর যেন বাড়ছে।

তালতলী পূর্বপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ কসিম উদ্দিন জানান,এখানে আমরা এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বিবেচনায় স্থানীয়দের সহায়তায় একসময় একটি সাঁকো নির্মাণ করেছিলাম। এখন সরকারই আমাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে ব্রিজ তৈরী করে দিয়েছেন। তবে পুরোপুরি দুর্ভোগ লাগবে অতি দ্রুত সংযোগ সড়কটি নির্মাণের দাবী তাঁর। তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান,এলাকাবাসীদের দাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় তার সুফল ভোগ করতে পারছে না এলাকার লোকজন। এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে, ধান কাটা শেষ হলে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলাম জানান, এলাকার লোকজনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে এই খালের উপর প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যায় করে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শিগ্রই দুর্ভোগ লাগবের আশা করা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ “আগামী তিন দিন শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে না যাওয়া আহ্বান” নুরুল আলম:: সারাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক হামলা, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ও হত্যার নিরপেক্ষ তদন্তে কমিটি গঠন করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে খাগড়াছড়িতে। সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি চেঙ্গী স্কয়ার হয়ে কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি কার্যালয়ের সামনে থেকে চেঙ্গি এস্কয়ারে এসে সমাবেশ করেন। ফুটন্ত চাকমার সভাপতিত্বে শিক্ষার্থী জনতন চাকমার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, উক্যনু মারমা,সুপন চাকমা,দেবাশীষ চাকমা,মংসানু মারমা প্রমূখ। কর্মসূচীতে আগামী তিন দিন শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে না যাওয়া আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, রাজপথে যখন নেমেছি। আমরা রক্ত দিতেও শিখেছি মন্তব্য করে হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে বক্তব্যে পাহাড়ের ইতিহাস না যেনে অনেকে ভুল ম্যাসেজ দিচ্ছে বলে জানান। এসময় ভূমি আইন নিয়ে কথা বলেন বক্তারা। তারা জানান, এই সমস্যা আমাদের সৃষ্ট নয়। পাহাড়ে ঘুরতে এসে ইতিহাসসহ পাহাড়ের কান্না দেখে যাওয়ার আহ্বান তাদের পর্যটকদের প্রতি। আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী দাবি করে পাহাড়ের মানুষকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে মন্তব্য করে পাহাড়ের মানুষ এখনো মুক্ত নয় দাবি করে অধিকার আদায়ের পাহাড়ের মানুষকেই সংগ্রাম করতে হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দরা। এ সময় তারা জাতি সংঘের তদন্ত দাবি করে কাঙ্ক্ষিত দাবি আদায় করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। আহতদের চিকিৎসা চলমান থাকলেও তাদের কেউ খোঁজ না নেয়ারও অভিযোগ তোলে। এর আগেও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত না হওয়াসহ পাহাড়ের একের পর এক সাম্প্রদায়িক ঘটনার ঘটছে বলে দাবি তাদের। পাহাড়ের সংঘাত পাহাড়ি-বাঙালিদের ইস্যু না,রাষ্ট্রিও সমস্যা রাষ্ট্রকেই সমাধান করতে হবে বলেও জানান বক্তারা।

© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!