শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০২:০০ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে যুবকের লাশ উদ্ধার খাগড়াছড়িতে কাভার্ডভ্যান চাপায় প্রাণ গেলো মোটর মিস্ত্রীর গুইমারার বিআরডিবি বাগানের গাছ কাটার দায়ে ইউসিসিএ’র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানা জিডি সাঁতারুদের উৎসাহ জোগাচ্ছে লুটাস সুইমিংপুল খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে অনিয়ম খাগড়াছড়িতে জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বইমেলা বিলাইছড়িতে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গুইমারাতে বিআরডিবি গাছ কাটার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি এলাকাবাসীর গুইমারা বাজারে সেড নির্মাণ উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম গুইমারাতে বিআরডিবি সরকারী বাগানের গাছ কেটে সাবাড়; দায় নিচ্ছে না কেউ
কর্ণফুলী নদীতে এখনও ফেরি, সেতু না হওয়ায় যাত্রীদুর্ভোগ চরমে

কর্ণফুলী নদীতে এখনও ফেরি, সেতু না হওয়ায় যাত্রীদুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: লুসাই পাহাড় হতে প্রবাহিত কর্ণফুলী নদীর উপর একমাত্র ফেরি পারাপার ব্যবস্থা চালু রয়েছে রাইখালী, চন্দ্রঘোনা, রাজস্থলী বান্দরবান। কর্ণফুলী নদীতে চালু থাকা এই ফেরি সার্ভিসের উত্তর পাশে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া বাণিজ্যিক কেন্দ্র লিচুবাগান, আর দক্ষিণে রাঙামাটি জেলাধীন কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়ন। এই দুই জেলার মাঝে সেতুবন্ধন রচনা করেছে এই ফেরি সার্ভিস। নদীর দুই পাড় দুই জেলায় অবস্থিত হলেও তিন পার্বত্য জেলার বাসিন্দারা এই সড়ক বেশি ব্যবহার করেন। যেমন রাজস্থলী, রাইখালী, বান্দরবান কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দারাও এখান দিয়ে যাতায়াত করেন।

প্রবল বৃষ্টি হলেই ফেরির পল্টুন ডুবে গিয়ে বন্ধ থাকে পারাপার। এছাড়া একটি ফেরি দিয়ে যাতায়াতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থাকে ছোট বড় যানবাহন। এতে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়তে হয় চলাচলকারীদের। পাশাপাশি দুর্ঘটনা তো আছেই। ফলে কর্ণফুলী নদীর উপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। বর্তমান সরকারের অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বছর বছর ধরে স্থায়ী সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে এসেছেন কিন্তু এত বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি। যখন মিডিয়া কর্মীরা সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে তখন সাধারণ চলাচলকারীদের প্রশ্ন, দুর্ভোগের ফেরি পারাপার আর কত দিন? তাদের দাবি, এখানে সেতু হোক। সেতু হলে তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্রগ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা আধুনিকে পরিণত হবে । পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে জানা যায়, নব্বই দশকের আগে কর্ণফুলী নদী পারাপারের জন্য ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। বর্তমানে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের অধীনে ফেরি গুলো পরিচালিত হচ্ছে। ফেরী একবার পারাপারে সময় লাগে ৪০/৪৫ মিনিট। সে ভোর থেকে রাত ১০টা কিংবা বিশেষ ক্ষেত্রে ১২টা পর্যন্ত এই সার্ভিস চালু থাকে। জরুরি কোন রোগী বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পারাপার করে থাকে।

ফেরিতে ওঠার জন্য নদীর দুই পাড়ে চন্দ্রঘোনা ও বাঙ্গালহালিয়া সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন থাকে। আর ফেরি বিকল হলে কিংবা পল্টুন ডুবে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে থাকে যানজট। নদীর উপর সেতু থাকলে পার হতে সময় লাগত মিনিট পর্যন্ত । তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সাথে সড়ক যোগাযোগের জন্য কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে প্রবাহিত কর্ণফুলী নদীর উপরে থাকা এই ফেরি প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। বান্দরবান, রাজস্থলী হতে সারা পথ নিরাপদে আসতে পারলেও এখানে এসে থমকে যেতে হয়। প্রতিদিন এই ফেরি দিয়ে প্রায় ৪/ ৫ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া নৌকা ও সাম্পানযোগে যাতায়াত করে অসংখ্য মানুষ। ফেরি দিয়ে বাস, ট্রাক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যানবাহনও চলাচল করে। সেতু না থাকায় সবাই কষ্ট পাচ্ছে।

বাঙালহালিয়া বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি বলেন, বাঙালহালিয়া, পদুয়া, দশ মাইল সুখবিলাস এলাকার গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগীকে দ্রুত চট্টগ্রাম বা চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা সম্ভব হয় না।

সাধারণ জনগন মতামত পোষণ করেন, এ ফেরী দিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যাতায়াত করেন। চন্দ্রঘোনার কাপ্তাই সড়ক এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসান (কোম্পানী) জানান, প্রায় সময় ফেরিপাড়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় চলাচলরত মানুষের।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি  বলেন, কয়েক বছর আগে একনেক সভায় এখানে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছিল। কিন্ত কেন এই প্রক্রিয়া থমকে আছে তিনি অবগত নন। প্রতি অর্থবছরে চন্দ্রঘোনা ফেরি থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।

Design & Developed BY Muktodhara Technology Ltd