মঙ্গলবার, ২৮ Jun ২০২২, ১২:২৭ অপরাহ্ন
বিলাইছড়ি (রাঙ্গামাটি)- প্রতিনিধি-পিঁপড়াভুক্ত আঁশযুক্ত প্রাণীকে বনরুই বলা হয়।বনরুই ইংরেজি প্রতিশব্দ প্যাঙ্গোলিন্স।মালয় ভাষায় বলা হয় ঘূর্ণয়মান বস্তু যা আত্মরক্ষার সময় প্রাণীটি নিজে বলের মত কুঁকড়ে ফেলার অভ্যাসকে ইঙ্গিত করে।
ফোলিডোটা বর্গের যে আট প্রজাতির বর্ম-ঢাকা।দন্তহীন স্তণ্যপায়ীর অস্তিত্ব এ পৃথিবীতে একটি প্রাণী বনরুই। একটি পুর্ণবয়স্ক বনরুই লম্বায় সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার (১-৩ ফুট) এবং ৫-২৭ কেজি(১০-৬০)পাউন্ড ওজনে হয়।আবার লেজের ২৬ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার প্রায় (১০-২৮) ইঞ্চি অবধি হয়ে থাকে।
মূখের দিক এবং শরীরের নীচে অংশ বাদে এঁদের সমস্ত শরীর সিমেণ্টযুক্ত একধরনের চুলের সমন্বয়ে বাদামী আঁশ দিয়ে আচ্ছাদিত। নাক সরু ও ছোখা।জিভ লম্বা এবং আঠালো যা ২৫ সেন্টিমিটার (১০) ইঞ্চি পর্যন্ত প্রসারিত হয়। নাকের মত এদের চোখ ও কান সরু। আচার্যজনক ভাবে বনরুই সামনে নখর পেছনে নখর তুলনায় দ্বিগুন লম্বা।মুখে দাঁত না থাকায় পূর্বে দাঁতহীন স্তন্যপায়ী প্রাণীর দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতো।
এরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে মিশ্র চিরসবুজ বনে বাস করে।অত্যন্ত লাজুক ও নিশাচর হওয়ায় প্রাণীটি সহজে চোখে পড়েনা। মাটিতে বসবাস করলেও গাছে উঠতে বেশ ওস্তাদ এরা।অত্যান্ত অলস ও ধীর গতি সম্পন্ন এই প্রাণীটি।সারাদিন গর্তে ঘুমিয়ে কাটায় রাতে খাবারের সন্ধানে বের হয় এরা। উইপোকা ও পিঁপড়া এঁদের মূল খাদ্য।
অসাধু ও ভন্ড কবিরাজরা এঁদের কাছ থেকে তথাকথিত ওষুধ তৈরী কারণে প্রাণীটি মহাবিপন্ন হয়ে পড়েছে।কাজেই এদের সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply