শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: পার্বত্যাঞ্চলের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে অবৈধ কাঠ দিয়ে ইটপোড়ানো ফসলী জমি উর্বর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রকাশ্যে দিনের বেলা কোনো নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে কাঠ ও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটের ভাটায়।
এতে করে সড়কের ক্ষতিসাধন হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে ধাপিত হচ্ছে। দেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে বৈধ কিংবা অবৈধ ইটভাটার জ্বালানি হিসাবে কাঠের ব্যবহারও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৩ নভেম্বর ২০২২ হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। অবৈধভাবে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা কয়েকটি প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিটটি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি মনজিল মোরশেদ।
স্থানীদের মতে, আইন অনুসারে লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না। অথচ শীত মৌসুম সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছে। অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হলে আদালত রুলসহ ঐ আদেশ দেন।
আদেশ অমান্য করে অনেকে ইটভাটায় অবৈধ ভাবে কাঠ কেটে ইটের ভাটায় মজুদ করছে এছাড়াও ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে এনে ইট তৈরি করার জন্য প্রস্তুত করছে। এই বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে কচি কাচা গাছ নিধন হবে এবং ফসলী জমি উর্বর মাটি নিয়ে যাওয়া ফসল উৎপাদনে ব্যঘাত ঘটবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।
Leave a Reply