রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ১২:৪০ অপরাহ্ন

খাগড়াছড়িতে চলছে উপজাতীয় সংগঠনগুলোর চাঁদাবাজি

খাগড়াছড়িতে চলছে উপজাতীয় সংগঠনগুলোর চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক:: তিন পার্বত্য জেলার সরকারী চাকুরীজীবি-ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ উপজাতীয় বিভিন্ন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ।

সম্প্রতি তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে জনপ্রতিনিধি ও ব্যবাসায়ী থেকে শুরু করে সাধারন কৃষকদের কাছ থেকেও চাঁদা আদায়ের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ চাঁদাবাজির তালিকা থেকে বাদ পড়েননি সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী বা শিক্ষক সমাজও। বিভিন্ন উৎসব উদযাপনে সরকারী সহায়তা থাকলেও বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে ইউপিডিএফ-জেএসএস সহ আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আদায় করছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চললেও চাঁদা দাতাদের কেউই মুখ খুলতে রাজি নয়। তারা নিরবে চাঁদা দিয়ে নিরাপদ থাকতে চাইছে।

নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক ব্যাবসায়ী বলেন, এখানে কখনোই বিনা চাঁদাদানে ব্যবসা-বানিজ্য করা যায় না। যেকোন সময় যেকোন উপলক্ষকে সামনে রেখেই পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা যে যার মতো করে চাঁদাবাজিতে নামে। তার মতে, এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হলে প্রথমেই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। তাদের সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো চাঁদার অর্থ দিয়ে দেশ-বিদেশে বাঙ্গালী বিদ্বেষী প্রচারণা ও তাদের অস্ত্র ভান্ডারকে সম্বৃদ্ধ করবে চাঁদার অর্থ দিয়ে এমনটাই ধারনা পাহাড়ের সচেতন মহলের। তাদের মতে একটি দিবসের নামে চাঁদাবাজি সরকার ও প্রশাসনের জন্য মারাত্বক হুমকি স্বরূপ।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার এক জনপ্রতিনিধি নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন উৎসবের নামে চাঁদাবাজির চিঠি আসতে শুরু করেছে। দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবী করা হয়েছে এসব চিঠিতে। তিনি আরো বলেন, তারা শুধু চিঠি পাঠিয়েই থেমে যায়নি, ফোন করে দ্রুত দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধের জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ চাঁদাবাজির মাধ্যমে পাহাড়ের এ জনপদকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য বানানোর কাজ চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, ভাবতেই অবাক লাগে আমরা কোথায় আছি। নতুন বছরকে সামনে রেখে তারা যেভাবে চাঁদার জন্য প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাতে আমরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছি।

খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তাবাহিনীর বিভিন্ন সূত্র ব্যাপক চাঁদাবাজীর কথা স্বীকার করেছে। তবে তাদের মতে, যেহেতু বর্তমানে চাঁদাবাজ বিরোধী অপারেশন চলছে সে কারণে খাগড়াছড়িতে এবছর চাঁদাবাজরা দোকানে দোকোনে এসে প্রকাশ্যে চাঁদা চাইতে পারছে না। ফলে দুর থেকে ফোন করে, স্লিপ পাঠিয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। এর সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান সচেতন মহল।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।

Design & Developed BY Muktodhara Technology Ltd