সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৬:০৫ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
গুইমারায় ব্যাপক হারে বাড়ছে বাল্যবিবাহ গুইমারায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত গুইমারায় বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পুর্তি উদযাপন তিন দিনব্যাপী খাগড়াছড়িতে জেএসএসের ১৩ তম জাতীয় সম্মেলন শুরু খাগড়াছড়িতে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন রাঙামাটির রাবিপ্রবি’তে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত গুইমারার হাফছড়িতে ৮৫০ জনের মাঝে সোলার বিতরণ খাগড়াছড়িতে ইউনিটি ব্লাড ডোনার সোসাইটির ১ম প্রতিবার্ষিকী উদযাপন রাঙামাটি সদর উপজেলার দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ খাগড়াছড়িতে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
খাগড়াছড়ির রামগড়ে মাদকবাহী সিএনজি ছেড়ে দেয়ায় এএসআই-কনস্টেবল প্রত্যাহার

খাগড়াছড়ির রামগড়ে মাদকবাহী সিএনজি ছেড়ে দেয়ায় এএসআই-কনস্টেবল প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা একের পর এক মাদকদ্রব্য পাচার বেড়েই চলেছে। পুলিশ প্রশাসনের গাফেলতির কারনে এমনটা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের। সতেচন মহল বলেন, সামান্য কিছু টাকা দিলেই আইন অমান্যকারীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ প্রশাসন। যার ফলে দিনে দিনে মাদক পাচার সহ বিভিন্ন অবৈধ কাজ বেড়েই চলেছে। তাই যেসকল পুলিশ কর্মকর্তারা এসব অবৈধ ও অন্যায় কাজের সাথে জড়িত তাদের অচিরে শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান।

সম্প্রতি খাগড়াছড়ির রামগড়ে মাদকদ্রব্যবাহী সিএনজি চালিত অটো রিকশা আটক করে থানায় এনে পরে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় পুলিশের এএসআই মো. মনিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল মো. রবেল হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ মে) তাদেরকে রামগড় থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে রামগড় থানার এএসআই মনিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল রুবেল হোসেন পৌরসভার মহামুনি এলাকায় একটি সিএনজি অটো রিকশা আটক করেন। এসময় ঐ অটো রিকশার যাত্রী মো. আসলাম নামে এক যুবকের দেহ তল্লাশি করে ইয়াবা পাওয়া গেলে সিএনজিসহ তাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অগোচরে আটক সিএনজি ও চালককে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে ঘটনাটি নজরে আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা এএসআই মনিরুল ও কনস্টেবল রুবেলকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ঘটনার সাথে জড়িত এএসআই মনির ও কনস্টেবল রুবেলকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার নির্দেশ দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার তাদেরকে রামগড় থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেয় হয়।

রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজিম উদ্দিন বলেন,‘ ঘটনাটি জানার পর জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবহিত করা হয়। স্যারের নির্দেশেই ওইজনকে প্রত্যাহার করে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’

এদিকে, মাদকসহ আটক আসলামের নামে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। আসলাম ফটিকছড়ির ভুজপুরের মতিন নগর গামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে। তবে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া সিএনজি অটো রিকশার চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ।

Design & Developed BY Muktodhara Technology Ltd