নুরুল আলম:: পার্বত্য চট্টগ্রামে যুব সমাজ ধ্বংসে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক কারবারী চক্র। দূর্গম পাহাড়ে মাদকের বিস্তার ঘটাতে ব্যবসায়ীরা নির্জনে একের পর একর টিলা যুক্ত জমিতে গাঁজার চাষ করে আসছে। এমন একটি এলাকায় মাদকের বিস্তার ঠেকাতে হানা দেয় প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি এলাকার ৩ নং রাবার বাগানের পর চৌধুরী পাড়া এলাকায় দুর্গম পাহাড়ী ছড়ার পাড়ে প্রায় ৩ একর জায়গার উপর চাষ করা গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় প্রশাসন। এতে প্রায় ৩ হাজার গাছ কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয় প্রশাসন। যার আনুমানিক ওজন ১০ হাজার কেজি,মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী ২০২৪) সকালে সেনাবাহিনী,পুলিশ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন নেতৃত্বে এতে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব চৌধুরীরসহ মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের সদস্যরা এসব গাঁজা ক্ষেত কেটে ধ্বংস করে দেয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। এ সময় অপরাধীদের বিষয়ে সজাগ থেকে মাদক কারবারীদের নিমূলে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে সকালে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব চৌধুরী বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সচেষ্ঠ আছে। কোন ধরনের মাদকের সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না। যে বা যারা যুব সমাজ ধ্বংসের জন্য মাদকের বিস্তারের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সজাগ রয়েছে প্রশাসন।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৩ একর জায়গার উপর চাষ করা গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায় প্রশাসন। এতে যে গোষ্ঠিই জড়িত থাক তাদের ছাড় দেয়া হবে না। জড়িতদের শনার্তে প্রশাসন কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় আছে অপরাধীদের কোন ছাড় নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Leave a Reply