শিরোনাম
পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের দিবস উদযাপন উপলক্ষে যামিনীপাড়া জোন কর্তৃক অনুদান প্রদান ২৭তম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বর্ষপূতি উপলক্ষে সিন্দুকছড়ি জোনের মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে পার্বত্য চুক্তি নিয়ে খাগড়াছড়িতে নাগরিক ও জেএসএস পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি গুইমারাতে সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত মাটিরাঙ্গায় মাদ্রাসার সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত “খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে মতবিনিময় সভা” প্রশাসনের উপর ভর করে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায়ন টিকে ছিলো ১৮ বছর পর রাঙামাটি পৌর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন ইউপিডিএফ এবং জেএসএসের মধ্যে গোলাগুলি, আহত অন্তত ৫

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মাল্টা বাগানে সবজি চাষ

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে কৃষিজমি না বাড়লেও ক্রমাগত ভাবে বাড়ছে জনসংখ্যা ও দৈনন্দিন চাহিদা। ফলে দিন দিন বিদেশ হতে আমদানি নির্ভর হতে হচ্ছে । তাই দেশের চাহিদা পূরণে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে পরিমিত ও পতিত কৃষি জমি কে কাজে লাগিয়ে একই জমিতে সমন্বীত চাষের মাধ্যমে চাহিদা পূরণে বিভিন্ন কর্মসূচির আওয়তায় কৃষকদেরকে উদ্ভুদ্ধ করছে সরকার। আসছে তাতে সফলতা।

কৃষিতে নতুন নতুন উদ্ভাবন, আধুনিকায়ন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, সরকারের প্রনোদনা, সার, বীজ প্রদানসহ কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় সমন্বিত সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষকগণ। এতে করে এক দিকে যেমন কৃষকরা লাভের মুখ দেখছেন, অপর দিকে দিন দিন পাহাড়ে কৃষিতে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

সম্প্রতি খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় মাল্টা বাগানে সমন্বীত সবজি চাষ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কৃষক আব্দুল হাকিম।

সরেজমিনে দেখায়ায়, এক একর (১০০ শতক) জমিতে গত দুই বছর আগে ১৬০টি মাল্টার চারা দিয়ে বাগান করেন। একই জমিতে মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, মরিচ, বারিসিম-১, ধনিয়াপাতা, বাঁধাকপি গোলআলুসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন কৃষক আব্দুল হাকিম। এতে করে একই জমিতে বছরে মাল্টা ছাড়াও একাধিক সবজি চাষ করে স্থানীয় ভাবে সবজির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি। অপর দিকে মাল্টা গাছের জন্য আলেদাভাবে পরিচর্জার প্রয়োজন হয়না। এতে করে সময় ও অর্থ খরচ হচ্ছে কম।

কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, মাল্টা আগে এই জমিতে ধান চাষ করে যা লাভ হতো, মাল্টা চাষ ও মাল্টা ক্ষেতে সমন্বিত সবজি চাষ করে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি লাভ হচ্ছে। এ বছর মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, মরিচ, বারিসিম-১, ধনিয়াপাতা,গোলআলু চাষ করেছি। গত বছর মৌসমে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার সবজি বিক্রি করেছি। এ বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকা সবজি চাষে ব্যয় করেছেন। যেহেতু এ বছর সবজির দাম বেশি, তাই ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হবে। পরিকল্পিতভাবে চাষ করলে ব্যবসার চেয়ে কৃষিকাজ করে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যায়। কৃষিতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ব্যবসার পাশাপাশি সবজি চাষ করে তিনি সফল বলে দাবি করেন।

কৃষিবিদ ও উপসহকারী দেবাশীষ চাকমা জানান, আব্দুল হাকিম কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে সমন্বিত চাষাবাদ করে সফলতার পেয়েছেন। তাই তার সফলতা দেখে অনেকেই সমন্বিত সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ আলী বলেন, পাহাড়ের মাটি ও আহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় কম খরচে অধিক ফলন সহজ। যার কারণে স্বল্প পুঁজি নিয়ে কৃষিক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হতে পারেন। তাছাড়া কৃষিতে আধুনিকায়নের ফলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ, সরকারের প্রণোদনা, কৃষি বিভাগের নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সার্বিক সহযোগিতায় দিন দিন কৃষকরা কৃষির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!