নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্ক (হর্টিকালচার সেন্টার) ও রিছাং ঝর্নাসহ খাগড়াছড়ির সবকটি পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও পর্যটকদের কাছে টানছে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের ঝুলন্ত সেতু দেখে উচ্ছ্বসিত ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। এছাড়াও দুই পাহাড়কে সংযোগকারী ‘লাভ ব্রিজে’ পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়।
শীতকালীন মৌসুমে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পাহাড়, গুহা ও ঝরনা-ঝিরি খ্যাত পর্যটন জনপদ খাগড়াছড়ি। জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকদের বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে কথা হয় ফেনী থেকে আসা বিভিন্ন পর্যটকদের সাথে। তারা বলেন, নানা ব্যস্ততার মাঝেও ছুটিকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র দেখে রোমাঞ্চিত হয়েছেন বলেও জানান তারা।
ঢাকা থেকে আসা বেশ কয়েকজন পর্যটক বলেন, এবার ভ্রমণে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের নান্দনিকতা আমাকে বিমোহিত করেছে।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, এবারের শিতে পর্যটকদের পদচারনায় সরব ছিল আলুটিলা। তবে আরও ৪-৫দিন পরে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিকে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply