নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্মী হত্যার প্রতিবাদে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকা আধাবেলা হরতাল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পালিত হয়েছে।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলা সদর থেকে দূর পাল্লার যানবাহন চলাচল না করলেও উপজেলা শহরে যানবাহন চলাচল করেছে। তবে অবরোধের দিনে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সাজেকের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইউপিডিএফ’র কর্মীরা অবরোধ পালনের লক্ষ্যে অবস্থান নিয়েছিলো।
গতকাল মঙ্গলবার ইউপিডিএফ সাজেকে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দিলেও হঠাৎ করে সিন্ধান্ত পরিবর্তন করে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আধাবেলা অবরোধ পালন করেছে।
এদিকে ইউপিডিএফ’র কর্মী হত্যার ঘটনায় গতকাল দিনগত রাতে সাজেক থানায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের আসামি করে নিহত দীপায়ন চাকমার স্ত্রী এশিয়া চাকমা একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন, রাঙামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল।
ঘটনার পর থেকে পুরো সাজেক এলাকাসহ পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
কেএনএফের বিরুদ্ধে ৫ জনকে অপহরণের অভিযোগ
বান্দরবানের রুমায় পাইন্দু ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দুর্গম নিয়াক্ষ্যং পাড়া থেকে ৫ জনকে অপহরণে অভিযোগ উঠেছে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। তবে এখনো অপহৃতদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা। তিনি বলেন, নিয়াংক্ষ্যং পাড়ার কোনো লোকের মোবাইলে সংযোগ পায়না। এ অবস্থায় সেখানে কোনো অপহরণের ঘটনা ঘটেছে কিনা? ঘটনার সত্যতা কি- অপহরণের ঘটনার অভিযোগ সম্পর্কে সরকারি গোয়েন্দাসহ উপজেলা প্রশাসন অবগত আছে।
পাইন্দু ইউনিয়ন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, সকালে শীত নিবারণের জন্য পাড়ার মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ আগুন জ্বালিয়ে এক সাথে তাপ নিচ্ছিল। ঠিক ওইসময় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ‘র ১৫ সশস্ত্র সদস্যরা নিয়াক্ষ্যং পাড়ায় হানা দেয়। পাড়াবাসী তাঁদেরকে মারার পরিকল্পনা করার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায়।
পরে নিরীহ পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যায় কুকি-চিন সদস্যরা। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় পাড়ার লোকজনকে এই বলে শাসিয়ে যায় যে পাঁচজনকে নেয়ার বিষয়টি পাড়ার বাইরে কাউকে না জানানোর জন্যে। বিষয়টি কোথাও জানাজনি হলে অপহৃত পাঁচজনকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেছে। মূলত; একারণেই অপহৃতদের উদ্ধারের আগে পাড়াবাসী মুখ খুলছেনা।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা নিয়াংক্ষ্যং পাড়ার ঘটনার আগের রাতে পার্শ্ববতীর পড়ুয়া পাড়া থেকে একটি কুকুর মেরে, তার সাথে দুইজনকে ধরে নিয়ে যায়।
এরা হলেন -উবামং মারমার ছেলে উহ্লাসিং (৩১) ও সাঅংপ্রু’র ছেলে চিনুমং (৩০)। ওই সময় রাস্তা দেখানোর জন্য ওই দুইজনকে নিয়ে যাচ্ছে বলে পাড়ার লোকজনকে জানিয়ে গেছে-কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, এ বিষয়ে বিকালের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা পরিস্কার হয়ে যাবে।
রুমা থানা এসআই মোহাম্মদ মিদন মিয়া বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
Leave a Reply