শিরোনাম
পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের দিবস উদযাপন উপলক্ষে যামিনীপাড়া জোন কর্তৃক অনুদান প্রদান ২৭তম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বর্ষপূতি উপলক্ষে সিন্দুকছড়ি জোনের মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে পার্বত্য চুক্তি নিয়ে খাগড়াছড়িতে নাগরিক ও জেএসএস পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি গুইমারাতে সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত মাটিরাঙ্গায় মাদ্রাসার সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত “খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে মতবিনিময় সভা” প্রশাসনের উপর ভর করে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায়ন টিকে ছিলো ১৮ বছর পর রাঙামাটি পৌর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন ইউপিডিএফ এবং জেএসএসের মধ্যে গোলাগুলি, আহত অন্তত ৫

আটরশীর উরসে লাখো মানুষের ভীড়

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ফরিদপুরের সদরপুরে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল প্রতিবছরের মতো এবারেও চারদিনব্যাপী বিশ্ব উরস শরীফ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা পবিত্র ফাতেহা শরিফ পাঠ ও আটরশী পীরের রওজা শরিফ জেয়ারতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় উরসের কার্যক্রম। জুমার নামাজে লাখো মুসুল্লি অংশ নেন।

এসময় জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফের প্রচার প্রধান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, দেশবিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যানবাহনযোগে লাখো আশেকান-জাকেরান, ধর্মপ্রাণ মুমিন মুসলমানসহ বিভিন্ন ধর্মের ভক্তরা উরস শরীফে সমবেত হচ্ছেন। এবছর প্রথমবারের মতো দেশের উত্তরবঙ্গ হতে যুক্ত হয়েছে ট্রেন কাফেলা। প্রাত্যহিক ফরজ ও সুন্নাত এবাদতের পাশাপাশি নফল এবাদত জেকের আসকারসহ তরিকতের বিভিন্ন কর্মকান্ড পালন করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে আটরশী পীরের স্থলাভিষিক্ত খাজা মাহফুজুল হকের নির্দেশনায় আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে এ আয়োজন।

উল্লেখ্য, বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের প্রতিষ্ঠতা শাহসূফী হযরত মাওলানা খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) ছাহেবের পীর ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সূফি সাধক হযরত খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রহঃ) ছাহেব। হযরত এনায়েতপুরী (রহঃ) ছাহেব ১৯৫২ সালে ওফাত লাভ করেন। সেই থেকেই আজ অবধি পর্যন্ত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফে মহা পবিত্র উরস শরীফ উদযাপিত হয়।

“যে দিবসে সাধকের পুণ্যআত্মার সহিত বিশ্ব আত্মার সহিত মিলিত হয়, সেই দিবসে তাঁহার পবিত্র রূহে ছওয়াব রেছানীর উদ্দেশ্যে যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি উদযাপন করা হয়-তাহা “উরস” নামে খ্যাত। ইহা অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ অনুষ্ঠান। উরস শরীফ বিশ্ব মানবের জন্য কল্যাণকর এক পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

মহা পবিত্র উরস শরীফে কুরআন হাদীসের আলোকে ওয়াজ নসিহত, শরীয়তের তাৎপর্য ও গুরত্ব ব্যাখ্যা, খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্ব জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কীয় আলোচনা, খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্ব জ্ঞান চর্চা অর্থাৎ জেকের, রাবেতা, মোরাকাবা, শোগল ও মোহাছাবা, বিভিন্ন প্রকারের ফয়েজ খেয়াল করা হয়। শরিয়তে খেলাপ কোন কাজ এখানে করা হয় না।

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে প্রতিদিন মানুষ আসে তবে বছরের একটা সময় মহা পবিত্র উরস শরীফে মানুষের ঢল নামে। এত মানুষের ঢল ইতি পূর্বে কেউ দেখেনি। বাঁধ ভাঙ্গা মানুষের ঢল। মানুষ এখানে আসে শান্তির খোঁজে, আল্লাহ ও রাসূলকে পাওয়ার উদ্দেশে, ইহকাল ও পরকালের মুক্তির আশায়।

রোগ, জরা, দুঃখ-দারিদ্র, অভাব-অনটন বিপর্যস্ত হতাশাগ্রস্ত মানুষ তাঁর কাছে শান্তি ও আশ্বাসের আশায় ছুটে যাচ্ছে দলে দলে, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আজ এক তীর্থক্ষেত্র, মানব সম্মিলনের এক পবিত্র ভূমি।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমার পর শুরু হাওয়া উরস শরীফ ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ ই ফেব্রুয়ারী রোজ শনি, রবি, সোম ও মঙ্গল বার মহা পবিত্র উরস শরীফ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হবে। ২০ ই ফেব্রুয়ারী রোজ মঙ্গলবার শাহসূফী হযরত মাওলানা খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) ছাহেবের পবিত্র রওজা শরীফ জেয়ারত করে আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে মহা পবিত্র উরস শরীফ সমাপ্ত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!