নুরুল আলম:: স্বাধীনতার মাসে এবং জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে গুইমারা সেনা রিজিয়ন কর্তৃক আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা সেনা রিজিয়ন, গুইমারা সরকারি কলেজ মাঠে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং বিনামূলে চিকিৎসা সেবার আয়োজন করেছে। এছাড়াও খাগড়াছড়ির গুইমারা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ মার্চ (রবিবার) ২০২৪ গুইমারা রিজিয়ন কর্তৃক ২শত জনসাধারণের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, বিদ্যুৎ বিহীন ১০ পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেল, বেকারত্ব দূরীকরণে স্বনির্ভরতার সুযোগ ও সুবিধা বঞ্চিত ২০ পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বসবাস যেন বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য ১০ পরিবারের মাঝে ১০ বান ঢেউটিন, ৫০ জন অসহায় ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ১০টি মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য সংস্থায় আর্থিক অনুদান প্রদানের পাশাপাশি দুইশত এর বেশি হতদরিদ্রের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৩ শত এর অধিক অসুস্থ ব্যক্তিবর্গের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, দন্ত চিকিৎসক, শল্য বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং মেডিক্যাল অফিসার এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবাসহ বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়েছে। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড এবং গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
উক্ত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে প্রধান অতিথি বলেন, আর্তমানবতা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং যেকোন দূর্যোগ পরিস্থিতিতে আপনাদের জন্য সেনাবাহিনীর সাহায্যও প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে। পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও গুইমারা রিজিয়ন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পূর্বের ন্যায় সকলের পাশে থেকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। এছাড়াও তিনি বলেন, গুইমারা অঞ্চলে পাহাড়ী ও বাঙালিদের মাঝে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সু-সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং সু-সম্পর্ক সর্বদা বজায় রাখার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। এসময় গুইমারা রিজিয়নের অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply