শিরোনাম
পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের দিবস উদযাপন উপলক্ষে যামিনীপাড়া জোন কর্তৃক অনুদান প্রদান ২৭তম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বর্ষপূতি উপলক্ষে সিন্দুকছড়ি জোনের মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হলে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে পার্বত্য চুক্তি নিয়ে খাগড়াছড়িতে নাগরিক ও জেএসএস পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি গুইমারাতে সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত মাটিরাঙ্গায় মাদ্রাসার সুধী ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত “খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে মতবিনিময় সভা” প্রশাসনের উপর ভর করে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায়ন টিকে ছিলো ১৮ বছর পর রাঙামাটি পৌর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন ইউপিডিএফ এবং জেএসএসের মধ্যে গোলাগুলি, আহত অন্তত ৫

রোয়াংছড়িতে অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর তড়িঘড়ি করে ফ্লোরে বালু ভরাট

Reporter Name

ফলোআপ—

নুরুল আলম:: বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিরুদ্ধে “কোটি টাকার ছাত্রাবাস ভবন নির্মাণের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সেলিম এন্ড ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী লাইসেন্স রাঙ্গামাটি ঠিকাদার আরাফাত হোসেন ওরফে আকাশ তরিঘরি করে কাজ করছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে তার পরিবর্তে ঝিরি বালু, নিম্নমানের ইটসহ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানের সেসব নিম্ন সামগ্রী দিয়ে গড়ে উঠেছে তিনতলা ভবন। বারবার কাজের মান ঠিক রেখে কাজ করার জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ করেও মেলেনি কোন সুরাহা। বরঞ্চ রাত গভীরে সেসব নিম্ন সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ চলমান রেখেছে ঠিকাদার। তাছাড়া রোয়াংছড়ি ঝিরি বালু দিয়ে দুতলা ভবনের ছাদ ঢালাই দেয়ার পর ধসে পড়ে গেছে বলে অভিযোগও করেন স্থানীয়রা।

এদিকে ঝিড়ির বালু, ইটসহ নিম্ন সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে বক্তব্যে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী অস্বীকার করে বলেছেন, ঝিড়ির বালু ফ্লোরে ভরাটের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। বীম, ছাদ ও ব্যাস ঢালাইয়ে কাজে ব্যবহার করা হয়নি। ফ্লোরের ভরাটের জন্য সেই ঝিড়ি বালু ব্যবহার করা হয়েছে বলে একই কথা বলেছেন সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার। কিন্তু দেখা মিলেছে অন্য রকম চিত্র। পূর্বে কথানুযায়ী ৮শত ফুট বালু ফ্লোরে দেওয়া হয়ে গেছে বলেছিলেন ঠিকাদার। কিন্তু সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে তড়িঘড়ি করে নতুনভাবে স্থানীয় সেই ঝিড়ি বালু পুনরায় উত্তোলন করে সকালে নতুন করে ফ্লোরে ভরাটে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ঠিকাদার আরাফাত হোসেন আকাশ বলেন, ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। সকল কাজই সঠিক ভাবে এবং নিয়মানুসারে করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২০- ২১ অর্থ বছরে রোয়াংছড়ির সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি পেয়েছেন সেলিম এন্ড ব্রাদার্স স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। যার প্রকল্পের বরাদ্দের ব্যয় ধরা হয়েছে ২কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!