খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় সংঘর্ষ-গুলি, প্রিজাইডিং অফিসারসহ আহত ৬

Reporter Name

খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নুরুল আলম:: খাগড়াছড়িতে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা। খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৬ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে। সহিংস ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক হয়েছে ৩ জন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভুয়াছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হামলা ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছে। হামলায় ঐ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শরৎ কুমার ত্রিপুরা আহত হয়। ঘটনায় আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয় ৩ জনকে।

প্রিজাইডিং অফিসার শরৎ কুমার ত্রিপুরার অভিযোগ, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জনৈক চেয়ারম্যান পক্ষে আনোয়ার হোসেন জাল ভোট হচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে তার নেতৃত্বে একদল যুবক কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। তিনি দরজা আটকে দিলে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে মারধর করে। এতে তার কপালের বাম পাশ ফেটে যায়।

আনোয়ার হোসেনের গলায় সাংবাদিকের কার্ড ঝুলানো ছিল। পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। কথিত সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের (মোটরসাইকেল) প্রতীকের লোক ছিল বলে জানা গেছে। ঘটনার সে গা ঢাকা দিয়েছে।

এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে দিঘীনালা উপজেলার জামতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. কাশেমের লোকজন অপর ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সমর্থিত প্রার্থী ধর্মজ্যোতি চাকমার এজেন্টদের বের করে দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয়ের অন্তত ৫ জন আহত হয়।

উল্লেখ, র‌্যাব-বিজিবি ও পুলিশসহ চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দ্বিতীয় ধাপে তিন উপজেলা খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ি উপজেলায় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ১০২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮১ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩ জন।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৪১টি। ভোটার ৯২ হাজার ৮৬৪ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৭ হাজার ৮৯৫ ও নারী ভোটার ৪৪ হাজার ৯৬৯ জন।

পানছড়ি উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ২৪টি। ভোটার ৫৬ হাজার ৫ ভোট। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৮ হাজার ২৪ ভোট ও নারী ভোটার ২৭ হাজার ৯৮০ ভোট।

দীঘিনালা উপজেলার ভোট কেন্দ্র ৩৬টি। ভোটার ৯০ হাজার ১৯৪। পুরুষ ভোটার ৪৬ হাজার ৮১ জন ও নারী ভোটার ৪৪ হাজার ১১২জন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!