শিরোনাম
খাগড়াছড়ির বাজারে পাহাড়ি-বাঙালির উপস্থিতি স্বাভাবিক খাগড়াছড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট;আ.লী-যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলায বজায় রাখতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী গুইমারায় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময় গুইমারায় জাতীয় জন্ম ও মৃতু দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন বিভিন্ন পুজা মন্ডপ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন একটি মহল পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে গুইমারায় বিএনপির অফিস ভাংচুরের দায়ে এক ব্যক্তি আটক গুইমারায় বাজার বয়কটের প্রেক্ষাপটে মতবিনিময় সভা

পার্বত্যাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেড়েছে বসতির সংখ্যা

Reporter Name

নুরুল আলম :: তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে বর্ষা মানেই পাহাড় ধসের শঙ্কা। কিন্তু মৃত্যুঝুঁকি জেনেও বেড়েছে পাহাড়ের ঢালে বসবাস। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি। জানা গেছে, নাগরিক সুবিধা বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ের পাদদেশে আবাসস্থল নির্মাণে আগ্রহী হয়ে উঠছেন স্বল্প আয়ের মানুষরা।

সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য তিন জেলায় প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ৬০ হাজার এর অধিক লোক পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।

রাঙামাটি সদরের শিমুলতলী, রূপনগর, যুব উন্নয়ন ও রাঙাপানি এলাকা এবং কাপ্তাই, কাউখালী, নানিয়ারচর, বরকল, বাঘাইছড়িসহ প্রায় সব উপজেলাতেই ঝুঁকিপূর্ণ বসতি দেখা যায়। অথচ পাহাড়ে ২০১৭ সালের ভয়াবহ ধসের চিহ্ন এখনও দৃশ্যমান। ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ১২০ জনের এবং ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয় রাঙ্গামাটি জেলায় জেলায়। তারপরেও সেই সব স্থানে আবারও বসবাস করছে মানুষ।

এছাড়াও খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায়ও দেখা যায় একই চিত্র। পাহাড়ের পাদদেশে যত্রতত্র আবাস্থল নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়েই বসবাস শুরু করেছে এই অঞ্চলের জনসাধারণ। ভাড়ি বর্ষার মৌসুমি যেকোনো সময় পাহাড় ধ্বসে ব্যপক প্রাণহানী ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সচেতন মহল।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে পাহাড় ধসের পরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি বেড়েছে কয়েকগুণ। এসব এলাকায় বেড়েছে নাগরিক সুবিধা। প্রশস্ত সড়কের পাশাপাশি পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। ফলে সাত বছরে জায়গার দাম বেড়েছে শতগুণ। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে প্রতিনিয়তই বাড়ছে বসতি। মারাত্মক ঝুঁকি জেনেও নিজেদের বসতবাড়ি ছাড়তে রাজি নন বসবাসকারীরা।

সচেতন মহল বলেন, ‘পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারীদের বেশির ভাগই স্বল্প আয়ের মানুষ। এই অবৈধ স্থাপনা যখন গড়ে ওঠে তখন নজরদারি করলে বর্তমানে এমন পরিস্থিতি হতো না। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাহাড়ে এমন বসতি গড়ে উঠেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে হবে। তাদের জন্য নিরাপদ বসতি নির্মাণের উদ্যোগ না নিলে প্রতি বছর বর্ষায় এমন দৌড়াদৌড়ি করতে হবে সবাইকে।’

এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘যারা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাদের নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে প্রস্তাব পাঠাবো।’

তিনি জানান, পাহাড় কেটে বসতি নির্মাণ এবং খাস জমি কেনাবেচার তথ্য পেলে প্রশাসন সব সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!