শিরোনাম
খাগড়াছড়ির বাজারে পাহাড়ি-বাঙালির উপস্থিতি স্বাভাবিক খাগড়াছড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট;আ.লী-যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলায বজায় রাখতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী গুইমারায় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময় গুইমারায় জাতীয় জন্ম ও মৃতু দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন বিভিন্ন পুজা মন্ডপ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন একটি মহল পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে গুইমারায় বিএনপির অফিস ভাংচুরের দায়ে এক ব্যক্তি আটক গুইমারায় বাজার বয়কটের প্রেক্ষাপটে মতবিনিময় সভা

পাহাড়ে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে সুস্বাদু পাকা আনারস

Reporter Name

নুরুল আলম:: তিন পার্বত্য জেলার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে পাহাড়ের ভাজে ভাজে সুবাস ছড়াচ্ছে পাকা আনারস। খাগড়াছড়ি জেলার, মানিকছড়ি, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা ও মহালছড়ি, রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও বান্দরবানের থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি ও চিম্বুকে প্রতিটি পাহাড়ের ঢালে এখন শোভা পাচ্ছে আনারস। আকারে বড়, রসালো ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে আনারস। ফলন ভালো ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি জুমিয়ারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পার্বত্যাঞ্চলের তিন জেলার পাহাড়ে শোভা পাচ্ছে আনারস। প্রতিটি পাহাড় পাকা আনারসে ছেয়ে গেছে। প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে পাহাড়ের জমি প্রস্তুত করে লাগানো হয় আনারসের চারা এবং মে-জুন মাসে বিক্রির উপযোগী হয়। আর কাঁধে থুরুং নিয়ে বাগান থেকে বিক্রয় উপযোগী এসব আনারস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন জুমিয়ারা। সেই আনারস বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় হাট বাজার ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।

এছাড়াও পাইকারি বিক্রেতারা বাগানে গিয়ে আনারস ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গা পরিবহন করে নিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ে উৎপাদিত জায়ান্ট কিউ আনারস আকারে বড় ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে ভালো। বড় সাইজের প্রতি জোড়া আনারস বাজারে বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। শুধু তাই নয় পাহাড়ে উৎপাদিত আনারস সরবরাহ হচ্ছে চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, সাতকানিয়া, ফেনী, বারইয়ার হাট, ঢাকা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া জায়ান্ট কিউ আনারস চাষের উপযোগী হওয়ায় স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে অধিক লাভবান হয় চাষিরা।

স্থানীয় এক আনারস চাষী বলেন, এ বছর আনারসের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। আমাদের পাহাড়ে উৎপাদিত আনারস অন্যান্য জেলার আনারসের চেয়ে অনেক ভালো। খুবই মিষ্টি, রসালো ও আকারে বড় হওয়ায় পাইকাররা বাগানে এসে আনারস ক্রয় করে নিয়ে যায়।

অপর এক কৃষক বলেন, এ বছর ছয় একর আনারসের বাগান করেছি। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলেও ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় দামো মোটামুটি ভালো পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য চাষের চেয়ে আনারস চাষে পরিচর্যা তেমন একটা না করলেও চলে। অনেক সময় একই জমিতে দুবার ফলনও পাওয়া যায়।

তবে টানা ৩ থেকে ৪দিন ভাড়ী বর্ষনের কারনে কৃষক ও ক্রেতা উভয় আনারস ক্রয় বিক্রয় করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিত হতে হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!