শিরোনাম
মাটিরাঙ্গায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন খাগড়াছড়িতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশে ব্রি. জে. আমান প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ পার্বত্য উপদেষ্টার দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনার দাবী সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ১০টি রিসোর্ট ও ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই তর্কের সময়, সামর্থ্য এবং শক্তির অপচয় রোধ করুন খাগড়াছড়িতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত গুইমারায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত বিলাইছড়িতে মাঠ দিবসে কৃষকদের সঙ্গে মত বিনিময় করলেন উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান খান আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ

জুরাছড়িতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠের ব্রীজ নির্মাণ

Reporter Name

নুরুল আলম: অবশেষে জীবনের ঝুঁকি কমাতে এগিয়ে আসতে হলো এলাকাবাসীকেই। জুরাছড়ি উপজেলার দীর্ঘ দিনের চরম ভোগান্তি ছিল দেবাছড়া গ্রামের পথে জরাজীর্ণ একটি বাঁেশর সাঁকো। ১নং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মানুষ এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। বাঁশ দিয়ে বানানো সাঁকো দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতো এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। অনেক সময় নানা দূর্ঘনার শিকার হয় তারা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাছে এলাকাবাসী অনেকবার ধরনা দিয়েও নানান আশ্বাসের পরও এই ব্রীজটি আজ অবধি নির্মাণ হয়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে এলাকাবাসী শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় কাঠের ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ব্রীজটির দৈর্ঘ প্রায় ৩২০মিটার। প্রায় ৩লক্ষ টাকা খচর করে ব্রীজটি চারদিনে তৈরি করেছে স্থানীয়রা। খেটে খাওয়া এসব দিন মজুরের এমন মহান উদ্যোগ এরই মধ্যে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

স্থানীয়বাসিন্দা দয়াময় চাকমা বলেন, আমরা জুম চাষ করে খাওয়া মানুষ। এই ব্রীজটি আমাদের কষ্টের টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আমরা কোনো সহযোগীতা পাইনি। সাবেক মেম্বার এ কাজের উদ্যোক্তা, তার কাছে টাকা জমা রেখেই আমরা ব্রীজটি করেছি।

খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণী শিক্ষার্থী প্রীতিময় চাকমা বলেন, জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে আমার খুব ভয় হতো। সে কারণে আমার বাবা-মাসহ সবাই মিলে টাকা তুলে নতুন কাঠের ব্রীজ তৈরি করেছে। এখন স্কুলে যেতে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। ভবিষ্যতে স্থায়ীভাবে একটা ব্রীজ তৈরি করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানায় সে।

এ বিষয়ে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিরঙ্গ মোহন চাকমা বলেন, আমার এই এলাকার মানুষগুলো অত্যন্ত দরিদ্র। প্রতি পরিবার থেকে দুইশ’-তিনশ’ টাকা টাকা উত্তোলন করে এই ব্রীজটি তৈরি করেছে। কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারের কাছ থেকে এক টাকাও অনুদান পায়নি। তিনি বলেন, প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানাচ্ছি কাঠের ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার আগেই যেন সরকারিভাবে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2019, All rights reserved.
Developed by Raytahost
error: Content is protected !!