নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়িতে আওয়ামীলীগ শাসন আমলে জায়গা জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক দখল, মিথ্যা মামলা, দেশের অর্থ লোপাটকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা।
মানিকছড়ির এক ভুক্তভোগি বলেন, অবৈধ সরকারের প্রভাবখাটিয়ে ৪নং তিনটহরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল আলি, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মো: শাহীন, ওমর ফারুক, এরশাদ শিয়া, সাহাব উদ্দিন, ফজর আলী, শাহজাহান, আনু মিয়া, এরশাদ মিয়া, আব্দুর রহিম,, মো: সেলিম, দীরেন্দ্র দাশ, বাবুল চন্দ্র শীল, হিরন্দ্র কুমার নাত, আব্দুর রহিম, আব্দুল মুতালেব, মঙ্গল মিয়া, আঙ্কুর আলীর স্ত্রী জুলেখা বেগম, আব্দুর রশিদ ও এরশাদ এর স্ত্রী ফাতেমা আক্তারসহ অজ্ঞাত আরো অন্তত ১০ থেকে ১৫জন আওয়ামী সন্ত্রাসী দল ৪নং তিনটহরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর নিদের্শনায় আমাদের জায়গা র্দীঘদিন যাবৎ জবর দখল করার চেষ্টা করছিলো। বর্তমানেও কিছু জায়গা দখল করে রেখেছে। দখল করতে আসলে বার বার বাঁধা দিলে অমার পরিবারের উপর ধারালো অস্ত্র্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নৃসংশ হামলা করে। এতে অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করছে। এসব সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার দাপটে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় ভুক্তভোগি পরিবার।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ১৯৬২-৬৩ সালে প্রায় দুইশতাধিক পরিবার মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরি ইউনিয়ন পরিষদের অধিনে বড় ডলু ডিড়ি পাড়া নামক স্থানে পূর্ণবাসন করা হয়। তখন তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই চলাচল রাস্তাও ৪নং তিনটহরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ আওয়ামীলীগ সরকারের দাপটে বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রজেক্ট-প্রকল্পের কাজ না করে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। যা সুষ্ঠ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে ১ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করতে গেলে হঠাৎ আবুল কালাম আজাদ চেয়ারম্যান মুঠোফোনে কল দিয়ে বলেন, জায়গা সংক্রান্ত দ্বন্দে আমি জড়িত নই। এখানে একটি মহল আমাকে অপব্যবহার করে এসব কাজ করছে। জায়গা নিয়ে দ্বন্দের বিষয় আমাকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে জায়গা দখলের কোনো নিদের্শনা দেওয়া হয়নি।
Leave a Reply